নিউজ ডেস্ক:
‘আমি কৃষকের সন্তান। নিজেও চাষাবাদ করি। ফসলের ন্যায্য দাম না পাওয়ার কষ্ট বুঝি। বাজারে সরকারি দরের চেয়ে ধান-চালের দাম কম এ কথা সত্যি। উৎপাদন খরচ বেড়েছে শ্রমিক সংকটসহ নানাবিধ কারণে। আমি সবসময় খাদ্য শস্যের বাজার দর ও প্রান্তিক চাষি পর্যায়ে খোঁজ-খবর রাখি। নির্ঘুম- নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছি কীভাবে, কোন কৌশলে বা কোন উপায়ে কৃষকের ধানের দর সরকারি দরের সামঞ্জস্যে আনা যায়।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁ জেলা আইনশৃঙ্খলা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সারাদেশে গুদামগুলোতে দ্রুত ধান-চাল কিনতে জোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। স্থানীয় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছি- খুব দ্রুত কৃষকের তালিকা দিতে। ১০৪০ টাকা দরে কার্ডধারী প্রকৃত ও প্রান্তিক কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহের ব্যবস্থা নিতে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘কোন দালাল, ফরিয়া বা মধ্যস্বত্বভোগীদের স্থান হবে না সরকারি গুদামে। সরকার দলীয় নেতাদের বলছি- আপনারা প্রভাব খাটাবেন না। সাধারণ কৃষককে ধান দিতে সহযোগিতা করুন।’
এর আগে বুধবার দিনব্যাপী উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে সরকারিভাবে ধান-চাল কেনার উদ্বোধন করেন তিনি। এসময় চাষি, ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে কথা বলেন মন্ত্রী। এ সংক্রান্ত বিভিন্ন খোঁজ খবর নেন তিনি।